
এটি এমন এক দম্পতির গল্প যারা একসঙ্গে দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা UPSC এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন এবং সাফল্যও পেয়েছেন। দম্পতির নাম দীপক আনন্দ (Deepak Anand) এবং অনামিকা ঠাকুর (Anamika Thakur)। UPSC-র ফল বেরোনোর পর দেখা যায় দুজনেই বেশ ভালো র্যাঙ্ক করেছেন এবং আইপিএস (IPS) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে দীপক ঠাকুর তাঁর স্ত্রীর পরামর্শে আইপিএস পদে যোগদান করবেন না বলে ঠিক করেছেন। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে।
দীপক আনন্দ বর্তমানে আয়কর অফিসে ডেপুটি কমিশনার হিসেবে কর্মরত। তিনি 2016 ব্যাচের একজন আইআরএস (ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস) অফিসার। তিনি IIT (ISM) ধানবাদ থেকে B.Tech করেছেন। অন্যদিকে, তাঁর স্ত্রী অনামিকা ঠাকুর এআরএস (Agriculture Research Service) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের একজন বিজ্ঞানী পদে কর্মরত আছেন। দীপক আনন্দ বর্তমানে দিল্লির অফিসে কর্মরত।
তিনি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, তাঁর স্ত্রীর সাথে প্রথম দেখা হয়েছিল দিল্লির রাজেন্দ্র নগরে। তখন সেখানে দুজনেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মজার বিষয় হলো দুজনেই একই বছর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একই সঙ্গে চাকরিও পান। দীপক আনন্দ আরও বলেন যে, 2014 সালে কলেজ পাস করার পরে, তিনি ক্যাম্পাসিং এ চাকরি পেয়েছিলেন। তবে পরিবারের সদস্যরা তাঁর চাকরি নিয়ে খুশি ছিলেন না। তাঁরা চাইছিলেন দীপক যেন UPSC-এর জন্য প্রস্তুতি নেয়। চাকরি পাবার মাত্র 10 দিন পরে, তার UPSC প্রিলিম ক্লিয়ার হয়ে যায়। এর পরে তিনি দিল্লির ওল্ড রাজেন্দ্র নগরে এসে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।
তিনি জানান, প্রিলিম পাস করার পরে, তিনি পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি করার সিদ্ধান্ত নেন। আড়াই মাস সময় ছিল মেইনস পরীক্ষার আগে। এমতাবস্থায় তিনি আড়াই মাসের ক্র্যাশ কোর্স করেন এবং ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্য সেল্ফ লার্নিং করেন। এভাবেই তিনি মেইন দেন এবং তা পাসও করেন। তারপর ইন্টারভিউ পর্ব শেষে রেজাল্ট বেরোলে দেখা যায় তিনি সাত নম্বরের জন্য মেরিট লিস্টে আসতে পারেননি।
দ্বিতীয় বার আবার পরীক্ষা দেন তিনি, এবারে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে ইতিহাস বেছে নেন। প্রথম পেপারে কম নম্বর পেলেও দ্বিতীয় পেপারে ইতিহাসে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। এবার মেরিট লিস্টেও জায়গা করে নেন তিনি। তাঁর র্যাঙ্ক ছিল ২৩৫।
দীপক আনন্দ ওই ইন্টারভিউতে জানান, তিনি আইআরএস বেছে নিয়েছিলেন কারণ তাঁর স্ত্রী তাঁকে আইআরএস পদে দেখতে চেয়েছিলেন। যদিও তাঁর যা র্যাঙ্ক ছিল তাতে তিনি আইপিএস এবং আইআরএস দুটোই পেতে পারতেন। কিন্তু কর্মজীবন আর ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখার সুবিধের জন্যই স্ত্রীর কথা শুনে তিনি আইআরএস বেছে নেন। বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দিল্লিতে কর্মরত হলেও আদতে তাঁরা উত্তর বিহারের বাসিন্দা।
বর্তমানে যারা UPSC এর প্রস্ততি নিচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্যে অফিসার দীপক আনন্দের বলেন, প্রত্যেকের জীবনেই চ্যালেঞ্জ আসে, কিন্তু নিজে পড়ার কোনো বিকল্প নেই। কোচিং হয়ত পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিপূরক করতে পারে, তবে তা কখনই সেল্ফ লার্নিং কে প্রতিস্থাপন করতে পারবে না। বর্তমানে বাজারচলতি বহু বই আছে। তা থেকে প্রথমেই পরীক্ষার্থীদের বেসিক বই, অর্থাৎ NCERT বই পড়তে হবে।
রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের নতুন চাকরির আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান।
এগুলিও পড়ুন 👇👇
💡 টেটের এই ৭ টি প্রশ্ন নিয়ে আদালতে মামলা
💡 কলকাতা পুলিশে নতুন করে ৩০৬ টি শূন্যপদে নিয়োগ
💡 পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে ১২ হাজার নতুন নিয়োগ, বয়স নিয়েও আপডেট