দেশের রাজনীতিতে ভোট বড় বালাই । কারণ ভোট এলেই আম জনতার ওপর রাজনৈতিক নেতাদের জন দরদী ভাব বেড়ে যায় কয়েক গুণ । কিন্তু এখন তো ভোট নেই । তবে আমাদের রাজ্যে কয়েকমাস পরে পঞ্চায়েত নির্বাচন । তা অবশ্য ঢেড় দেরি । তবে নতুন বছরের উপহার স্বরুপ রাজ্যের নাগরিকদের প্রতি সদয় হলেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । একের পর এক উপহার বললেও ভুল হবেনা । নতুন বছরের উপহার স্বরুপ এক ধাক্কায় ওই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের DA আর বেতন বৃদ্ধি করেছে স্ট্যালিন সরকার । এজন্য অবশ্য সংশ্লিষ্ট সরকারের কোষাগার থেকে বাড়তি খরচ হবে 2359 কোটি টাকা । তাতে অবশ্য কুছ পরোয়া নেহি । খরচ হয় হোক, রাজ্যের সরকারি কর্মীদের আর্থিক ভাবে আরও স্বাচ্ছন্দ দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার । Ration Card Update
এবার আরও একধাপ এগিয়ে রাজ্যের রেশন কার্ডধারীদের জন্য বিরাট উপহার নিয়ে হাজির এই রাজ্যের সরকার । নতুন বছরের উপহার আক্ষা দিয়ে ইতিমধ্যেই ওই রাজ্যের সরকার সাধারণ রেশন কার্ডধারীদের নগদ 1000 টাকা এবং এক কেজি করে চিনি এবং চাল বিনামুল্যে দেওয়ার অঙ্গিকার করেছে । কিন্তু কেন এই উদারতা ? তামিল নাডু সরকার সুত্রে খবর , তামিলনাড়ু ভোটের আগে সেরাজ্যের মহিলা ভোট টানতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তামিলনাড়ুর সরকার। নারী দিবসের দিন এই ঘোষণা করে তাদের অভিনন্দন জানিয়ে এই স্কিমের ব্যাপারে ঘোষণা করা হয়েছে। ভোটের কিছুদিন আগে থেকে মিলবে এই সুবিধা। আগামী 3 জুন থেকে মহিলা কার্ডধারীদের 1000 টাকা দেবে তামিলনাড়ু সরকার। তবে শুধু তামিলনাডু রাজ্যের মানুষই নন , এক্ষেত্রে প্রতিবেশি শ্রীলংকার নাগরিকদের তামিল শিবিরেও দেওয়া হবে চাল আর চিনি । তবে যাই হোক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য স্ট্যালিন সরকারের এই উদারতা কে অযথা দান খয়রাতীর সঙ্গেই তুলনা করেছেন ।
তবে শুধু তামিল সরকারই নয় , রাজ্যের আর্থিক ভাঁড়ারের অবস্থা শোচনীয় হওয়া স্বত্ত্বেও অযথা দান খয়রাতীর রাজনীতিতে সিদ্ধ হস্ত দেশের বহু রাজ্যের সরকার থেকে শুরু করে খোদ কেন্দ্রের মোদী সরকার পর্যন্ত । যেমন ধরা যাক সম্প্রতি বিধানসভা ভোট হয়েছে গুজরাট আর হিমাচলের মাটিতে , ভোটের আগে ওই দুই রাজ্যেই বিজেপি সরকার অযথা দান খয়রাতীর দোকান খুলে বসে । তাতে অবশ্য গুজরাটের আম নাগরিক সাড়া দিলেও হিমাচলের মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি বিজেপি সরকার । দিল্লীর ক্ষেত্রে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার অবশ্য বছর ভর ওই রাজ্যের মানুষকে জল আর বিদ্যুৎ ফ্রি দেন । তাতে অবশ্য বিরোধী দলগুলিকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে রাজধানির আপ’ সরকার ।
এবার আসি আমাদের রাজ্যের কথায় । রাজ্যের আর্থিক ভাণ্ডার শুন্যতা থাকা সত্ত্বেও অযথা দান খয়রাতিতে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বছরভর তো আছেই । এমনকি গত অক্টোবর মাসে দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে রাজ্যের 43 হাজার পুজো কমিটিকে নগদ ৬০ হাজার টাকা অনুদান আর বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দেওয়া নিয়ে কম শোরগোল পড়েনি । পাশাপাশি নির্বাচনের আগে বাংলাতে ভোট টানতে যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো প্রকল্পের ঘোষণা হয় । এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভোট রাজনীতির ধুয়ো তুলে আদলতের দরজায় পর্যন্ত কড়া নেড়েছে রাজ্যের বিরোধী শিবির । তবে উৎসব বলে কথা । শেষ পর্যন্ত বাংলার উৎসব মুখি মানুষের কথা মাথায় রেখে বিষয়টি ধামা চাপা পড়ে যায় কয়েক দিনের মধ্যেই । কিন্তু রাজ্য সরকারি কর্মীদের ন্যায্য পাওনার বিষয়ে অর্থাৎ বকেয়া ডি এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই রাজ্যের বিরোধীদের কণ্ঠে অবশ্য শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর দান খয়রাতীর প্রসঙ্গ ।
তবে রেশন কার্ডধারীদের সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের মোদী সরকার এক ধাক্কায় অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে যে কোনও রাজ্যের সরকার কে । কারণ বিগত দু’বছর যাবত একেবারে মহামারী শুরু থেকে আজ পর্যন্ত রেশনে মাসকাবারি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পান দেশের 80 কোটি রেশন গ্রাহক । এ নিয়েও বিজেপির ভোট রাজনীতির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে দেশের অর্থনৈতিক এবং রাজনতিক বিশ্লেষকদের দাবি , করোনা তো মিটে গিয়েছে কয়েক মাস আগেই তাহলে রেশনে বিনা মূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার যৌক্তিকতা কোথায় ? তবে এ বিষয়ে কোনও কিছুকেই গুরুত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্রের মোদী সরকার । ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপির এই ভোট কৌশলী রাজনীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব দেশের একাধিক রাজনৈতিক দল ।
written by – Somnath Pal .
More Job News : Click Here
Join Telegram Channel : Click Here
TAG – #RATION #OFFER #RATION CARD HOLDER #BIG OFFER