২৫ হাজার প্রাইমারি শিক্ষকের ভবিষ্যৎ অন্ধকার, কিন্তু কেন? সাফ জানালো বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

রাজ্যে নিয়োগ দূর্নীতি নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উটে এসেছে। কখনো কখনো এসএসসির শিক্ষক নিয়োগে দূর্নীতি আবার কখনো কখনো গ্রুপ সি আবার কখনো কখনো গ্রুপ ডি নিয়োগেও দূর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। এবার ফের নিয়োগের দূর্নীতি উঠে এলো রাজ্যের মেগা নিয়োগ প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে। এবার রাজ্যের প্রায় ২৫ হাজার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের দূর্নীতির কথা উল্লেখ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান যে, রাজ্যে প্রতিটি নিয়োগেই দূর্নীতি লেগেই রয়েছে। 

রাজ্যে শেষ বারের মতো শিক্ষক নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। তথ্য অনুযায়ী মোট প্রায় ৪২ হাজার ৫০০ জন প্রাইমারি শিক্ষক (WB Primary Teachers) নিয়োগ করা হয়। কিন্তু বিচারপতির দাবি সেই নিয়োগও দূর্নীতিতে জর্জরিত। এবার ৪২ হাজার ৫০০ জনের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ সঠিক নিয়মে করা হয়নি বলে দাবি বিচারপতির। ২৫ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের মুখে। 

এদিকে বিচারপতি প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের সম্পর্কে তথ্য তুলতে গিয়ে দেখেন যে, প্রাইমারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউ এর পাশাপাশি Aptitude যাচাই এর মাধ্যমে নিয়োগ করা হয় কিন্তু তিনি রাজ্যের প্রায় ৪০ জন ইন্টারভিউয়ার কে ডেকে পাঠালে যদিও উপস্থিত ছিল প্রায় ৩০ জন ইন্টারভিউয়ার। তাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তিনি জানতে পারবে যে সেই নিয়োগে যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি। ৩০ জনলর মধ্যে ২৫ জন জানান যে, সেই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ইন্টারভিউ এর সময় কোনো প্রকার Aptitude নেওয়া হয়নি। 

ALSO READ :   KVS | বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষার 'Provisional Answer Key' প্রকাশ করলো কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন!

প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো Aptitude পরীক্ষা করা কিন্তু এক্ষেত্রে কোনো প্রকার Aptitude পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। নিয়োগের ভাষায় Aptitude বলতে বোঝায় সরাসরি ইন্টারভিউয়ারদের সামনে অবিকল ক্লাস করে দেখানো অথচ ২০১৬ সালের নিয়োগে কোনো প্রকার Aptitude যাচাই করা হয়নি।  

TET: পরীক্ষা ছাড়াই পশ্চিমবঙ্গে প্রাইমারি শিক্ষক ও স্টাফ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, রইল বিস্তারিত 

বিচারপতি এও যাচাই করে দেখেন যে, কোনো প্রকার Aptitude না দিয়ে কেমন করে সেই নম্বর দেওয়া হল। তিনি এও দেখেন যে, এক্ষেত্রে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৩ নম্বর আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৫ নম্বরও দেওয়া হয়। যদি কোনো প্রকার Aptitude না নেওয়া হয় তাহলে কীভাবে এই নম্বরের ব্যবধান করা হলো। তাই তিনি অনুমান করেন যে, এই নিয়োগেও বিরাট দূর্নীতির যায়গা রয়েছে। 

গত নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার নিয়ম না মেনে নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু চক ডাস্টার, নাম জিজ্ঞাসা করে নিয়োগ করা হয়েছে। যেখানে Aptitude এর কোনো ভুমিকা নেই। তাই পুরো নিয়োগ অনিয়ম হয়েছে বলে বিচারপতির দাবি। 

More Job News : Click Here

ALSO READ :   Primary TET OMR Scrutiny: প্রাইমারি টেটের উত্তরপত্র যাচাইয়ের সুযোগ! দেখে নিন নিজের খাতা

Join Telegram Channel : Click Here

Leave a Comment

Your email address will not be published.

Scroll to Top